শরিরটাকে সুস্থ রাখুন।

শরির সুস্থ রাখার জন্য আমরা কেউ কেউ জিমে ভর্তি হই। কিন্তু কয়জনে বা নিয়মিত চালিয়ে যায়। আর ভারী ব্যায়াম একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর করা জায় না। তাছাড়া জিমের একটা খরচ আছে এবং অনেক সময় বাসার কাছে না থাকায় যাতায়তে টাকা ও সময় উভয়ে খরচ হয়।

তার চেয়ে চলুন একটু দৌড়ায় নিয়। এতে খরচ কম, কোন নির্দিষ্ট সময় বাধাঁ নেই। আপনি চাইলে সকালে, বিকালে এমন কি রাতেও দৌড়াতে পারেন। যাতায়তের খরচ নেই। আপনি আপনার বাড়ির পাশের মাঠে, খালি যায়গায়, অথবা ফাঁকা রাস্তায় (বিশেষ করে সকালে/রাতে) দৌড়াতে পারেন। আপানার বয়স যত হোকনা কেন, আপনি শুরু করতে পারেন এবং ৮০/৯০ বছর বয়স পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারেন। আমার কথা না, বিষেজ্ঞদের কথা (রেফারেন্স দেখুন শেষে)। আর দৌড়ানোড় ট্রেনিং আছে সেগুলো মেনে চলুন দেখবেন আপনি কোন ইঞ্জুরি ছাড়া নিয়মিত দৌড়াতে পারতেছে। নিচে নতুনদের জন্য একটি ট্রনিং দিলাম। আমি এটা মেনে করেছি এবং সত্যি সুফল পায়েছি। 

প্রথম সপ্তাহঃ
সোম       এক মিনিট দৌড়ানো দুই মিনিট হাঁটা ১০ বার।
মঙ্গল        রেষ্ট
বুধ         এক মিনিট দৌড়ানো দুই মিনিট হাঁটা ১০ বার।
বৃহস্পতি   রেষ্ট
শুক্র        এক মিনিট দৌড়ানো দুই মিনিট হাঁটা ১০ বার।
শনি        এক মিনিট দৌড়ানো দুই মিনিট হাঁটা ১০ বার।
রবি         রেষ্ট

২য় সপ্তাহঃ
সোম       ২ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ১০ বার।
মঙ্গল        রেষ্ট
বুধ        ৩ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ৭ বার।
বৃহস্পতি   রেষ্ট
শুক্র        ৪ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ৬ বার।
শনি        ৪ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ৬ বার।
রবি         রেষ্ট

৩য় সপ্তাহঃ
সোম       ৫ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ৫ বার।
মঙ্গল        রেষ্ট
বুধ        ৫ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ৫ বার।
বৃহস্পতি    রেষ্ট
শুক্র        ৬ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ৪ বার।
শনি        ৬ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ৪ বার।
রবি          রেষ্ট

৪র্থ সপ্তাহঃ
সোম       ৮ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ৩ বার।
মঙ্গল        রেষ্ট
বুধ        ৯ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ৩ বার।
বৃহস্পতি    রেষ্ট
শুক্র        ১০ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ২ বার।
শনি        ১১ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ৩ বার।
রবি          রেষ্ট


৫ম সপ্তাহঃ
সোম      ১২ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ২ বার।
মঙ্গল        রেষ্ট
বুধ        ১৩ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ২ বার।
বৃহস্পতি    রেষ্ট
শুক্র        ১৪ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ২ বার।
শনি        ১৫ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ২ বার।
রবি          রেষ্ট

৬ষ্ট সপ্তাহঃ
সোম       ১৬ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ১ বার।
             ১০ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ১ বার।
মঙ্গল        রেষ্ট
বুধ        ১৭ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ১ বার।
            ১০ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ১ বার।
বৃহস্পতি    রেষ্ট
শুক্র        ১৮ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ১ বার।
             ১০ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ১ বার।
শনি        ১৯ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ১ বার।
             ১০ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ১ বার।
রবি          রেষ্ট

৭ম সপ্তাহঃ
সোম       ২০ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ১ বার।
মঙ্গল        রেষ্ট
বুধ        ২২ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ১ বার।
বৃহস্পতি    রেষ্ট
শুক্র        ২৪ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ১ বার।
শনি        ২৬ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ১ বার।
রবি          রেষ্ট

৮ম সপ্তাহঃ
সোম       ২৭ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ১ বার।
মঙ্গল        রেষ্ট
বুধ        ২৮ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ১ বার।
বৃহস্পতি    রেষ্ট
শুক্র        ২৯ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ১ বার।
শনি        ৩০ মিনিট দৌড়ানো ১ মিনিট হাঁটা ১ বার।
রবি          রেষ্ট

______________________________________

২৫ থেকে ৪৫ যাদের বয়স এবং ব্লাড প্রশার বা হার্টের সমস্যা যাদের নেই তারা এই ট্রেনিং মেনে চলতে পারেন। 

নিয়মিত ৮ সপ্তহা এরুটিন মনে চলুন। দেখবেন আপনি আপনার লক্ষে পৌছে গেছেন। প্রথম দিকে একটু স্লো মনে হলেও তাড়াহুড়া করবেন না। আপনি হয়ত এক সাথে এক মিনিটের বেশি দৌড়াতে পারবেন। কিন্তু আমাদের লক্ষরাখতে হবে পরের দিনও যাতে দৌড়াতে পারেন। তাই আস্তে আস্তে শুরু করুন। প্রথম দিকে শরীর ব্যাথা করলে পারাসিটাম খেতে পারেন। তবে কোন পাইন কিলার নিয়েন না। বেশি ব্যাথা লাগলে ২য় সপ্তাহে চার দিনের জায়গায় তিন দিন করুন আর ২য় সপ্তাহটা দুই বার করুন (আপনার মূল রুটিন হয়ে যাবে ৯ সপ্তাহ)। আর চার দিনের পরবর্তে তিন দিন করতে পারেন। তবে রুটিন মেনে চলুন। 

ব্লাড প্রশার বা হার্টের সমস্যা থাকলে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন আর আরো আস্তে আস্তে সুরু করুন। 

রানিং নিয়ে আরো লেখা পড়তে এবং আমার সাথে রানিং সম্পর্কে কথা বলতে আমার ফাইসবুক পাইজ   ভিজিট করুন।  

Reference: www.runnersworld.com

তথ্য যোদ্ধা সায়মন ড্রিং


১৯৭১, ২৫ শে মার্চ রাত। পাকিস্থানের অখন্ড রক্ষায় প্রস্তুত পাক সেনাবাহিনীর জোয়ানরা। কিছুক্ষনের মধ্যে ঘটে যাব মানব সভ্যতার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গনহত্য। অথচ হতভাগা মানুষ গুলো জানেও না তাদের ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে। অন্য একটা সাধারন দিনের মতো আজো তারা ঘুমতে গেল। মায়ের মুখে ঘুমপাড়ানির গান শুনতে শুনতে যে ছেলেটি ঘুমিয়ে পড়লো সে জানেও না এটাই তার জীবনের শেষ ঘুম। ছলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ঘুমিয়ে পড়া মা টি জানে না এই ধরণীতে এটাই তার শেষ রাত। তেমনি পাকিস্থানি শাষক গোষ্টিও বাহিরের পৃথিবীকে জানতে দিতে চাই না কি ঘটতে যাচ্ছে ঢাকাতে। তাদের মতে পাকিস্থা রক্ষায় কিছু প্রানহানী ঘটলে কিছু যায় আসে না। তাছড়া মালাওনের সাথে হাত মেলানো মুসলমান সাচ্ছা মুসলমান না। এদের কে মারা যায়।


২৫ মার্চের প্রস্তুতির অংশ হিসাবে বিদেশী সব সাংবাদিক কে জোর করে ঢাকা থেকে বাহির করে দিয়েছে পাক শষক গোষ্টি। অনেক সাংবাদিক কে লাঞ্ছিত  করা হ্য়। এমন কি মৃত্যুক হুমকি দেওয়া হয়। 


এত কিছুর মাঝেও নতুন কিছু জানার ইচ্ছাকে দমন করতে পারেন নাই ২৫ বছর বয়সী এক বৃটিশ তরুন। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, বর্তমানে রুপসী বাংলা, তে লুকিয়ে ছিলেন লন্ডনের ডেইলী টেলিগ্রাফের তরুন রিপোর্টার সায়মন ড্রিং। নিজের চোখে দেখেন সে রাতে কি হয়েছে ঢাকাতে। পরের দিন কারফিও উঠেগেলে হোটেল কর্মকর্তাদের সহায়তায় সাইমন বাহিরে বেড় হন, ঢাকার ধংসাজ্ঞের ছবিতুলে পাঠান লন্ডনের ডেইলী টেলিগ্রাফে। সারা পৃথিবী জানে কি হচ্ছে বাংলাদেশে। এটাই যুদ্ধ বিদ্ধস্থ ঢাকা থেকে প্রথম রিপোর্ট। তরুন এই সংবাদিকে সহসীকতা একটা জাতির ইতিহাস পাল্টাতে সহায়তা করে। সরা বিশ্বে বংলাদেশ নামক নতুন দেশটির নাম পৌছে যায়।তার এই সাহসীকতার জন্য তাকে বাংলাদেশের সম্মন সূচক নগরিকত্ব দেওয়া হয়। 



আমিও খুশি হইতাম যদি লেখাটা এখানে শেষ করতে পারতাম। 

 সায়মন ড্রিং আবার আসেন ঢাকায়। এবার একুশে টেলিভিশনের সথে জড়িত হয়ে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ১৯৭১ পাক বাহিনী তাকে তাড়াতে না পারলেও এবার তাকে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার দেশে ছাড়া করেন। বি, এন, পি সরকারের উপর ভার করে ১৯৭১ সালের পাকিস্থানের দোষররা এবার ঠিকই সফল হন। 

হায়রে বাংলাদেশ !!!!!

রেফারেন্সঃ 
Daily Telegraph London (2002, 2nd March Edition) http://www.telegraph.co.uk/news/worldnews/asia/bangladesh/1408933/Hero-journalist-expelled-from-Bangladesh.html 
Simon Dring on Wikipedia : http://en.wikipedia.org/wiki/Simon_Dring
Bangladesh Genocide Archive : http://www.genocidebangladesh.org/?page_id=36

এয়ার লাইন্সে বোমা

মালেশিয়া এয়ার লাইন্সের হারিয়ে যাওয়া প্লেনটি এখনো পাওয়া যায় নি। তবে দুই জান সন্দেহ জনক পেসেঞ্জার প্লেনে উঠেছে চুরি করা পার্সপোর্ট নিয়ে, আর এর প্লেনেইটি রার্ডার থেকে হারিয়ে যাওয়ার ধরন দেখে মনে হচ্ছে প্লেনে বোম পেতে রাখা ছিল (বি, বি, সি) । ভবিষতে জানা যাবে আসলে কি ঘটেছিলে ২৩৯ জন যাত্রীর ভগ্যে। তবে বোমা মেরে প্লেন উড়িয়ে দেবার ঘটনা এই প্রথম নয়। 

এ পর্যন্ত ২৭ টি বিমান বোম দিয়ে উড়িয়ে দেবার পরিকপ্লনার কথা জানা গেছে। এর মধ্যে ১৯৯০ সালের পরে ৯ বার প্লেইনে বোম রাখা হয়, যার ছয়টিতে কোন না কোন ভাবে আল কাইদা জড়িত।  তবে সব কয়টা পরিকল্পনা যে সফল হইয়েছে এমন না। 

বোমা মেরে প্লেন উড়িয়ে দেবার ঘটনার মধ্যে সব চেয়ে আলোচিত ঘটনা হচ্ছে ১৯৮৮ সালে আমারিকার PAN AM-103 যেটা ইতিহাসে লাকারবি বোমা হামলা নামে পরিচিত। পান এম এর বোয়িং ৭৪৭-১২১ বিমান টির যাত্রা পথ ছিলে জার্মানের ফ্রাংকফুট থেকে লন্ডন এবং নিউইয়ক হয়ে আমেরিকারই আর এক শহর ডেট্র্য়েটে। লন্ডনে বিমানটিতে এক পেসেঞ্জারের লাগেজ ভরা হয় কিন্তু পাসেঞ্জার প্লেনে উঠে না। ওই লাগেজে বোমা ছিল এবং তা স্কর্টলেন্ডের লকারবিতে বিস্ফরিত হয়। ২৪৩ জন পেসেঞ্জার এর ১৬ জন ক্রু সহ ২৫৯ মানুষের সলিল সমাধি ঘটে। লিবিয়ার তখন কার প্রসিডেন্ট কর্ণেল গদ্দাফি ২০০৩ সালে ঘটনার দায় স্বিকার করে এবং নিহতের পরিবার কে ক্ষতিপুরন দিতে রাজি হন। 

বোয়িং ৭৪৭ এ বোমা হামলা এই প্রথম না। ১৯৮৫ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে বোমা বিস্ফিত হয়ে ৩২৯ জন মানুষ মারা যায়। কানাড থেকে লন্ডন হয়ে ইন্ডিয়া যাবার কথা ছিল ফ্লাইটির কিন্তু আয়ারলেন্ডের আকাশ সীমায় আটলান্টিকে বিমানটি ডুবে যায়। নিহত হন ৩২৯ জন মানুষ। কানাড বিত্তিক ইন্ডিয়ার শিখ সম্প্রদেয়ের এক সন্ত্রাসী গুরুপ এর জন্য দায়ী বলে প্রমানিত হয়। 

ইতিহাসের প্রথম বোমা বিস্ফরনে বিমান ফেলে দেবার ঘটনা ঘটে ১৯৩৩ সালে। এটি ছিল ইউনাইটেড এয়ার লাইন্সের বিমান। এটাই বোমা বিস্ফরে আকাশ থেকে পড়ে যাওয়া প্রথম বেসরকারী বিমান। আর এর রহস্য এখনো সুরেহা হয় নিয়। 

আল কায়দা, শিখ সন্ত্রাসী, কর্ণেল গাদ্দাফী বমা বিস্ফরনে যেই জড়িত থাক না কেন, সব ঘটনায় একটা কথা সত্য এতে শুধু নিরহ মানুষেই মরে। যে লোকটি তার প্রিয় মানুষদের পেছলে ফালে একটু অর্থনীতিক সচ্চলতার জন্য অন্য দেশে পাড়ি দিচ্ছে, সে হয়তো আর দেখতে পাবে না তার প্রিয়জনের মুখটি। প্লেনে যে মানুষটি মরে, তার সাথে সাথে মৃত্যু হয় তার স্বপ্নটির আর তার উপর নির্ভর করে থাকা মানুষের স্বপ্ন। 

ভাষা নিয়ে যত মজার অভিজ্ঞতা।

এই লেখাটা মূলত বিভিন্ন ভাষা আর বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের  ইংরেজীর একসেন্ট নিয়ে আমাদের মজার অভিজ্ঞতার গুলো।

একঃ ইষ্ট লন্ডন একসেন্ট ককনি 

পাঁচ বছর আগে পাড়ি জমিয়েছি ইংলেন্ডে। পড়ালেখান জন্য  আসা।যদিও দেশে আমার বি, বি, এ ছিল পুরাটাই ইংরেজীতে, তথাপি  IELTS পরিক্ষা দিয়ে ইংরেজদের প্রমান দিতে হয়েছে যে ইংরেজী লিখতে পরতে পারি। কিন্তু সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেলাম ইংলেন্ডের মাটিতে পা রাখার পর। বি, বি, সি শুনে শুনে আমার ইংরেজীর আনুশীলন, আষ্ট্রেলিয়ারা জানি অন্য একসেন্টে কথা বলে। কন্তু ইংলেন্ডে ইংরেজীর এই অবস্তা কেন? বি, বি, সি এর সেই প্রমিত উচ্চারনে কেউ কথা বলে না। লন্ডনে, বাঙ্গালীদের বসবা মূলত ইস্ট লন্ডনে। আমারা খালতো ভাই আমারা আগে লন্ডনে এসেছেন। তার সুবাধে আমারও ঠিকানা হলো ইষ্টে। এদিকে প্রচুর এশিয়ান। যে কটা ইংরেজ বিশেষ করে ইষ্টলন্ডনের স্থায়ী বসবাস করে তারা তাদের নিজেদের উচ্চারনে কথা বলে। যার নাম ককনি একসেন্ট (Cockney Accent )। অনেকটা মুখের ভেতরে করে বলা এই একসেন্ট নতুন আসা আমার বুঝতে বেশ আসুবিধা হয়। পরে জানলাম শুধু আমার না, অন্য অঞ্চলের ইংরেজদেরও নাকি বুঝতে অসুবিধা হয়। আর এ দিকে যে সব বঙ্গালী বংশভূত নতুন প্রজম্ম আছেন, বিশেষ করে যাদের এদেশে জম্ম, তাদের একসেন্ট মিশ্র (এ নিয়ে বিস্তারিত শেষে আলোচনা করবো) ইংরেজীর বাহিরে এরা ভলো সিলেটি বলে, আর সঠিক উচ্চারনে বাংলা বলার চেয়ে এরা হিন্দি বলতে বেশ সাছন্দবোধ করে !

ককনিতে লেটার (letter) উচ্চারন করে লেয়ার। আমারিকন এক কৌতুক অভিনেতা মজা করে বলেন, একটা শব্দথেকে দুটা অক্ষর চলে গেল ?  

মজার ককনি একসেন্টের একটা ভিডিও দিলাম। 


ককনি শিখতে চাইলে নিচের ভিডিওটা দেখুন। 





দুই লিভারপুল একসেন্ট ((VVaniilla) না Vanilla)

আমার বিশ্ব বিদ্যালয়ের মূল কেম্পাস লিভারপুলে। দেখতে দেখতে এম, বি, এ শেষ হয়ে গেল। কনভোকেশন লিভারপুলে। আমরা ঠিক করলাম দুইদিন আগে যাবো। লিভারপুলে কোন কোন জায়গায় যাওয়া যায় তা আগে থেকে ঠিক করে রাখলাম। লিভারপুলে নেমে হোটেলে যাবার জন্য টেক্সি নিলাম। পথে টেক্সি চালকে কাছে জানাতে চাইলাম এখালে সি বীচ্ যাবো কামেন। টেক্সি চালকে হ্যাঁ করে জানতে চাইলো কি? পরে বল্লাম  Sea Beach, Sea Side, ইত্যাদি ইত্যাদি। ফলাফল শুন্য। যাহোক রিসেপসনে গিয়ে দেখে যে মায়েটা কথা বলতেছে তারা একসেন্ট সোজা বাংলায় নোয়াখালির বাংলা। চেক ইন শেষ করে তাকেও একই প্রশ্ন করলাম, বুঝেনা।। আমাদের ভাগ্য ভালো রিসেপন  মেনেজার ইংরেজ, কিন্তু লন্ডন থেকে এসেছেন। সে বল্ল, এরা লিভারপুল ছাড়া অন্য একসেন্ট খুব একটা বুঝেনা। পরে ম্যাকডোনান্ডে গিয়ে দেখি একই অবস্তা আমার বন্ধু Vanilla Ice Cream  চাইলে অনেক্ষন পর মেয়েটা বলে ওওও ভে......নিয়লা (VVaniillaa)। রেগে আমার বন্ধু আইফোনে উচ্চারন শুনিয়ে বলে, শুন এটা ভে......নিয়লা (VVaniilla) না Vanilla। 
মজার লিভারপুল একসেন্ট দেখুন। 

তিনঃ বাংলাদেশী অথচ হিন্দি পারোনা!!!!!!!!
এখানকার ইনিভর্সিটিগুলোতে প্রয় সব দেশে ছেলে মেয়ে আছে, আর ইন্ডিয়ানতো অবশ্যয়। আমাদের সেমিষ্টারে বাংলাদেশী ছিলাম আমরা মাত্র দুই জন আর প্রয় ৭/৮ জনের মত ইন্ডিয়ানি এবং পাকিস্তানি। আর একজন বাংলাদেশী ভাই তাদের সাথে অনরগল হিন্দিতে কথা বলে। আমি যদিও হিন্দি একটু একটু বুঝি, বলতে পারিনা। আর এদের ভাব খানা এমন আমি বাংলাদেশী অথচ হিন্দি পারিনা এটা একটা অপরাধ। দেখলেই বলে "কে ছা হু ইয়ার"...... আমি কোন উত্তর না দিয় না। একদিন এক মেয়ে এসে বলল আমি হিন্দি পারি না নাকি হিন্দি তে কথা বলতে চাই না। মেজাজ গেল খারাপ হয়ে। বললাম শুন তুই কি বাংলা জানস। না বোধক মাথা নাড়ল। আবার বল্লাম তুই কি জানস তোর দেশের একটা অঞ্চলের মানুষ বাংলায় কথা বলে। সে বলল হ্যাঁ, কলকাতায়। বললাম, তোর দেশের একটা ভাষা বাংলা অথচ তুই বাংলা জানোস না, আর হিন্দি আমার দেশের ভাষা না তার পরেও আমাকে হিন্দি জানতে হবে এ কেমন কথা। মনে মনে বল্লাম সব জায়গায় দাদা গিরি করিস না। 

পরে অবশ্যই বুঝতে পারলাম এর জন্য আমাদের দেশীরা অনেকাংশ দায়ী। ইন্ডিয়ানদের সাথে হিন্দিতে কথা বলতে পারলে আমাদের কিছু মানুষ নিজেকে বেশ স্মার্ট মনে করে। 

চারঃ হিন্দি উর্দু রহস্য। 
আমি আসলেই হিন্দি বা উর্দু কোনটাই জানি না। ছোটকালে হুজুরা যখন উর্দুতে মুনাজাত করত তখন আমিন না বলে চুপ করে বসে থাকতাম, কারন হুজুর কি বলতেছে আমি জানি না (আরবিতে করলে মানলাম পবিত্র কোরআনের কোন আয়াত পড়তেছে)। 
ইন্ডিয়ারা পাকিস্তানিদের সব কথা বুঝে আর পাকিস্তানিরাও ইন্ডিয়াদের কথা বুঝে। যখনি জিজ্ঞাস করি হিন্দি আর উর্দু কি এক, তারা বলে না। তাদের কথা আমি বেশ মনেযোগ দিয়ে শুনি, কিন্তু কোন পার্থক্য ধরতে পারি না। তার পরেও বলে হিন্দি আর উর্দু এক না। বিষটা আমার কাছে একনো রহাস্যময়। 


পাঁচঃ ইতালিয়ানদের সাথে কথাবলতে যত সমস্য।

ইতালিয়ানরা সব সময় তাদের ভাষায় কথা বলে আর ভবখানা এমন যেন সবাই তাদের কথা বুঝে। আর ইতালিয়ান মেয়েরা হাত না নেড়ে কথা বলতে পারে না। এ নিয়ে একটা মজার প্রবাদ আছে "ইতালিয়ান মেয়েদের মুখ বন্ধ করতে চাইলে তাদের হাত দুটা বন্ধ করে রাখ এতে চলবে।"  আমি আমার ইতালিয়ান কলিগের কাছ থেকে বেশ কিছু ইতালিয়ান শব্দ শিখে নিয়েছি। একদিন আমি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে তার সাথে ফোনে কথা বলতেছি আর মজা করে সেই শব্দগুলো ব্যাবহার করতেছি। আমার কথাশুনে আমার পাশের লোকটি মনে করলো আমি ইতালিয়ান জানি। সে এসে হাও মাও করে আমার সাথে ইতালিয়ান ভাষায় কথা বলা শুরু করলো। আমি যতই বলি, আমি ইতালিয়ান বুঝি না সে বিশ্বাস করে না। তার কাথা এমি ফোনে কথা বলতে সে শুনেছে। । কি মুসকিল বলেন তো।



ক্রিকেট যখন কান্দায়।


দুইজনই পাশাপাশিঃ তবুও মন ভালনেই। 


সবার মুখে হাতঃ কেন এমন হলো। 




 মন ভালো নেই টাইগারের। 

হতাশ বাড়ি ফেরাঃ আর কতদিন। 

 এখনি বুঝি নামবে খে শ্রাবন। 





নিজেরাও কান্দে আর আমাদেরকেও কান্দায়।